বার্ধক্য জয়ের পথে হার্ভার্ড বিজ্ঞানীরা

দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের স্বপ্ন সফল করতে মানুষের চেষ্টার কমতি নেই। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্য পরীক্ষা আর পরিমিত খাদ্যাভ্যাস; কত কিছুই না করছি আমরা। মানুষের এই আজন্ম লালিত স্বপ্ন সার্থক করার মিশনেই নেমেছেন বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। অধ্যাপক রোনাল্ড ডেপিনহোর নেতৃত্বাধীন এ গবেষক দল আবিষ্কার করেন এমনই ওষুধ, যা দিয়ে মানুষের শরীরে বার্ধক্যের কারণগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে। সুত্র ইন্টারনেট।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক রোনাল্ড জানান, বয়স্ক ইঁদুরের ওপর এ ওষুধের একটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। গবেষণার জন্য তার নির্ধারিত ইঁদুরটির চামড়া, মগজ, নাড়িভুঁড়ি ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ৮০ বছরের একজন মানুষের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। ওই ওষুধটি প্রয়োগের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই ইঁদুরটির শরীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোষ পরিবর্তন হয়ে যায়। এরপর ওই ইঁদুরটির শরীরে এত অধিক হারে নতুন কোষ জন্মাতে থাকে যে সেটি আবারও শারীরিকভাবে তরুণ হয়ে ওঠে।

অধ্যাপক রোনাল্ড জানান, তিনি ও তার দলের গবেষণার কেন্দ্রবস্তু হলো ‘টেলোমিয়ারস’ নামে মানবজিনের একটি জৈবিক ঘড়ি। এ টেলোমিয়ারস মানবজিনকে বার্ধক্যজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ টেলোমিয়ারসও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর এ ফাঁকে মানবদেহে বাসা বাঁধে বার্ধক্যের ঘুণপোকা।

এরই একপর্যায়ে টেলোমিয়ারস তার কার্যক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে। আর তখনই মানুষ বার্ধক্যে কাবু হয়ে যায়। হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা এ টেলোমিয়ারসকেই আবার কার্যক্ষম করে তোলার ওষুধ আবিষ্কারে উঠেপড়ে লেগেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ১০ বছরের মধ্যেই আবিষ্কৃত হবে এমন ওষুধ যা মানুষকে দৈহিকভাবে চিরযৌবন করবে।

Exit mobile version