ফাতেমা সুলতানা
ডায়াবেটিসের কারণে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেলে তা হার্টের সরু নালিগুলোকে আরও সরু করে দেয়। ফলে হƒদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য দেহে জমতে জমতে একসময় চর্বিতে পরিণত হয়।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪০ ভাগ ডায়াবেটিসজনিত হƒদরোগের সমস্যায় ভুগছে। অনেকে জানেনও না যে তার ডায়াবেটিস হয়েছে। কোনও কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলে অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।
ডায়াবেটিক-কার্ডিওলজির এসব রোগীর নিজেদের খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেলে তা হার্টের সরু নালিগুলোকে আরও সরু করে দেয়। ফলে হƒদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য দেহে জমতে জমতে একসময় চর্বিতে পরিণত হয়। তাই অতিরিক্ত মোটা, যারা কম শারীরিক পরিশ্রম করেন, ধূমপান করেন, তামাক বা জর্দা খান, ফাস্টফুড, তৈলাক্ত খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার ও অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তারা এসব খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করুন।
যাদের রক্তে কলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তারা খাবারের মাধ্যমে কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে একজন পুষ্টিবিদ আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। রক্তের শর্করা ও কলেস্টেরল কমানোর জন্য সবচেয়ে আগে নিজে সচেতন হতে হবে। খাদ্য তালিকায় প্রথমেই দেখতে হবে যে যথেষ্ট পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি, শসা, তাজা ফল, বেসন, অঙ্কুরিত ছোলা ও মুগ যেন থাকে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। বেশি মাছ খাবেন, চামড়া ছাড়া মুরগি, ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার অভ্যাস করুন। দুধ খেলে ননী তোলা দুধ অর্থাৎ লো ফ্যাট মিল্ক খেতে পারেন।
যেহেতু হার্টের সমস্যার সঙ্গে ডায়াবেটিসও রয়েছে তাই অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণ হতে বিরত থাকতে হবে। ভুসিসহ লাল আটা, লাল চাল, ইসবগুলের ভুসি ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
হার্টের রক্তনালি যাতে আরও সরু হয়ে না যায় তাই তেলের ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। একজন ব্যক্তি তার সারা দিনের খাদ্য তালিকায় ২-৩ চা চামচের বেশি উদ্ভিজ তেল ব্যবহার করতে পারবেন না। মাখন, ঘি, মার্জরিন, কলিজা, মগজ, কুসুম এগুলো খাওয়া একেবারেই নিষেধ।
এর সঙ্গে সারাদিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।
লেখক : পুষ্টিবিদ, শমরিতা হাসপাতাল