খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল। সারা বছর পাওয়া গেলেও রমজানের সময়ে এর সহজলভ্যতা ও চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। আমাদের দেশেও এখন খেজুরের আবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত সৌদি কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের খেজুরই আমরা বেশি খেয়ে থাকি। গাঢ় খয়েরি রঙের খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর স্বাদ এতই মিষ্টি, যেন মনে হয়, চিনি ও মধুর এক অপূর্ব মিশ্রণ।
খেজুরের পুষ্টিগুণ
খেজুরে আছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। ফ্রক্টোজ ও ডেক্সট্রোজের মতো সাধারণ সুগার। আছে ট্যানিনস নামক পলিফেনোলিক এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা একাধারে এন্টি-ইনফেকটিভ, এন্টি-ইনফ্লামেটরি ও এন্টি হেমোরেজিক হিসেবে পরিচিত।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ। এটি বিটা ক্যারোটিন নামক এন্টি অক্সিডেন্ট ফ্লাভোনয়েডে সমৃদ্ধ। আয়রনের চমৎকার উৎস হচ্ছে, খেজুর যা আমাদের দেহের জন্য অপরিহার্য। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও ম্যাগনেশিয়াম। ভিটামিন ‘কে’-সহ ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সে সমৃদ্ধ খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাইরিডক্সিন, নিয়াসিন, পজেন্টামেনিক এসিড ও বিবোফ্লাভিন।
উপকারিতা
িকোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর একটি উপকারী ফল।
িনিকোটিনিক উপাদানের কারণে এটি দেহের অন্ত্রের নানা জটিলতা দূর করতে সাহায্য করে।
িসুগার, ফ্যাট, প্রোটিন ও ভিটামিনের অপূর্ব সমন্বয়ের জন্য এটি দেহের ওজন বাড়াতে একটি পুষ্টিকর ডায়েট।
িহার্টকে সুস্থ, সবল ও নানা জটিলতা থেকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।
িশিশুর পুষ্টিহীনতা দূর করতে সহায়তা করে।
িখুসখুসে কাশি, ব্রঙ্কাইটিস সমস্যায় খেজুর খুব আরামদায়ক।
িপটাসিয়ামে সমৃদ্ধতার জন্য এটি নার্ভাস সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
িনিয়মিত ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম শতকরা ৪০ ভাগ স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করে। এক্ষেত্রে খেজুর খুবই সহায়তা করে থাকে।
িরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও যৌন দুর্বলতা কমাতে খেজুর সহায়ককারী হিসেবে কাজ করে।
িখেজুরে আছে ফ্লুরিন যা দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে থাকে।
িরাত কানা, অ্যানিমিয়া ও ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
সর্বোপরি, লক্ষণীয় বিষয়, খেজুর একটি এনার্জি বা শক্তিবৃদ্ধিকারক, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল।
১০০ গ্রাম খেজুরে যা থাকে
এনার্জি – ২৭৭ কিলোক্যালরি
কার্বো হাইড্রেট – ৭৪.৯৭ গ্রাম
প্রোটিন – ১.৮১ গ্রাম
ফ্যাট – ০.১৫গ্রাম
ডায়েটরি ফাইবার – ৬.৭ গ্রাম
ডায়েটরি সুগার – ৬৩ গ্রাম