স্বাস্থ্য সংবাদ

বুঝে নিন : আপনার ডায়াবেটিস

সাধারণত ডায়াবেটিসের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় : ষ ঘনঘন প্রস্রাব ষঅতিরিক্ত পানির পিপাসা ষঅতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা ষযথেষ্ট পরিমাণ খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া ষঅল্পতেই ক্লান্তি বা দুর্বলতা লাগা ষশরীরের যে কোনো ক্ষত স্থান তাড়াতাড়ি না শুকানো ষচর্মরোগে আক্রান্ত যেমন_ ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ, খোসপাঁচড়া বা চুলকানি ইত্যাদি। তবে মনে রাখতে হবে, এসব উপসর্গ না থেকেও […]

Published

on

সাধারণত ডায়াবেটিসের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় : ষ ঘনঘন প্রস্রাব ষঅতিরিক্ত পানির পিপাসা ষঅতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা ষযথেষ্ট পরিমাণ খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া ষঅল্পতেই ক্লান্তি বা দুর্বলতা লাগা ষশরীরের যে কোনো ক্ষত স্থান তাড়াতাড়ি না শুকানো ষচর্মরোগে আক্রান্ত যেমন_ ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ, খোসপাঁচড়া বা চুলকানি ইত্যাদি। তবে মনে রাখতে হবে, এসব উপসর্গ না থেকেও ডায়াবেটিস হতে পারে। চোখ, হৃৎপিণ্ড, কিডনির সমস্যা নিয়েও রোগী আসতে পারে। রক্তের গ্গ্নুকোজ পরীক্ষা : সকালে খালি পেটে যদি রক্তের গ্গ্নুকোজ ৭ মিলিমোল/লিটারের বেশি হয় তবে বুঝতে হবে আপনার ডায়াবেটিস, আর ৫.৬ থেকে ৬.৯-এর মধ্যে থাকলে একে প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থা বলে। ৭৫ গ্রাম গ্গ্নুকোজ খাইয়ে ২ ঘণ্টা পর প্যাথলজি যে পরীক্ষা করা হয় তাতে ১১.১ মিলিমোল/লিটার বা এর বেশি হলে আপনার নিশ্চিতভাবে ডায়াবেটিস আর ৭.৮ থেকে ১১ হলে আপনি প্রি-ডায়াবেটিক।
প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদেরও কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মতো খাওয়া-দাওয়া ও জীবনযাপনে শৃঙ্খলা আনতে হবে। আর প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। মনে রাখবেন, শুধু খালি পেটে বা ভরাপেটে রক্ত পরীক্ষা করলে ডায়াবেটিস ধরা নাও পড়তে পারে। তাই ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য অবশ্যই সকালে খালি পেটে এবং ৭৫ গ্রাম গ্গ্নুকোজ খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর রক্তের গ্গ্নুকোজ দেখতে হবে আর প্রস্রাবে গ্গ্নুকোজ পরীক্ষা তেমন নির্ভরযোগ্য নয়।

অধ্যাপক ডা. এমএ মান্নান
বিভাগীয় প্রধান, এন্ডোক্রাইনোলজি ও ডায়াবেটলজি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

Trending

Exit mobile version