ডা. এম. আর করিম রেজা
ইংরেজিতে RASH এবং বাংলায় একে আমবাত বলা হয়। এটি সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়। ফুসকুড়ির রং, আকৃতি এবং ধরনের ভিন্নতা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত স্থান ‘লালাভ’ হয়ে থাকে। শরীরের কোনো বিশেষ স্থান বা সমস্ত শরীরেই দেখা দিতে পারে এটি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের মধ্যেই এটি দেখা দেয়। অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে চুলকানি, ব্যথা বা জ্বালাপোড়া থাকে। আমবাত বা ফুসকুড়ি ছোঁয়াচে হতে পারে আবার নাও হতে পারে। প্রায় শতাধিক রোগে এটি লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায় :
কি কারণে ফুসকুড়ি (RASH) হয়
ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ : যেমন একজিমা, সোরাইয়াসিস এবং বিভিন্ন ধরনের ডার্মাটাইটিস। িব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের সংক্রমণ : ইমপেডিগো, ফলিকুলাইটিস, সেলুলাইটিস ইত্যাদি। িফাংগাস বা ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ : ছইদ, দাদ। িপ্যারাসাইট বা পরজীবী সংক্রমণ : স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া, উকুন ইত্যাদি। িকোনো বিশেষ কিছুর সংস্পর্শে এলার্জিজনিত : প্রসাধন, পোশাক বা রাসায়নিক পদার্থ। িকিছু ওষুধ সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে। িআবহাওয়াজনিত কারণে যেমন রোদের ঘামাচি। পোকা-মাকড়ের কামড় এবং সংস্পর্শে। ত্বকের রোগ ছাড়া অন্য রোগ যেমন জন্ডিস, সিফিলিস, রিউম্যাটিক ফিভার, রক্তজনিত রোগ, অ্যামাইলোডসিস, সারকয়ডসিস ইত্যাদি রোগের লক্ষণ হিসেবে ক্ষুদ্রাকৃতি ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
অ্যান্টি হিসটামিন জাতীয় খাবারের ওষুধ; ভ্যাসলিন, এন্টিসেপটিক ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহারে পরিত্রাণ না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রকৃত রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করলে খুবই দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ-আরোগ্য সম্ভব নাও হতে পারে কিন্তু চিকিৎসা গ্রহণে রোগ নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন সম্ভব যেমন সোরাইয়াসিস।
ডা. এম. আর করিম রেজা
কনসালটেন্ট, চর্ম, এলার্জি ও কসমেটিকজনিত রোগ, ফোন : ০১৮১৯-২৩৭৩৫০