প্রধান খবর
একযোগে ৬ শতাধিক গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদোন্নতি
বাংলাদেশে গাইনি ও অবস্ বিভাগের ৬ শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক একযোগে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এর মধ্যে শূন্য পদে ৪৩ জন এবং সুপারনিউমারারি পদে ৫৯৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে– যা দেশের চিকিৎসা ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (পার-১ শাখা) যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের এসব চিকিৎসককে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ৬ষ্ঠ গ্রেডে (টাকা ৩৫,৫০০–৬৭,০১০) গাইনি অ্যান্ড অবস্ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক (সুপারনিউমারারি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের বর্তমান পদ ও কর্মস্থলে ইনসিটু অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পার-১ শাখায় সরাসরি অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে যোগদানপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। কোনো কর্মকর্তার কর্মস্থল ইতোমধ্যে পরিবর্তিত হয়ে থাকলে, তারা বর্তমান কর্মস্থলের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে যোগদানপত্র দাখিল করবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা পরবর্তী পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত বদলি, পদায়ন বা কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারবেন না। যারা লিয়েন, প্রেষণ, শিক্ষা ছুটি বা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ছুটি শেষে যোগদানের পর পদোন্নতি কার্যকর হবে।
এছাড়া, পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিরূপ তথ্য প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় সংশোধন বা বাতিলের ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ সরকারি চাকরিতে কর্মরত গাইনি ও অবস্ চিকিৎসকদের জন্য সত্যিই এক আনন্দের দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম, শূন্য পদে ৪৩ জন এবং সুপারনিউমারারি ৫৯৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে একযোগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু গাইনি চিকিৎসকদের জন্য নয় বরং স্বাস্থ্যখাতের জন্যই এক বড় স্বীকৃতি। গত সরকারের আমলে নানা অজুহাতে পদোন্নতির প্রক্রিয়া বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছিলো। অনেকে আছেন যাদের যোগ্যতা ১০ বছর আগেই পূর্ণ হয়েছিল।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদোন্নতির মাধ্যমে দেশের সরকারি হাসপাতালে মাতৃস্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষায় নতুন গতি আসবে। তরুণ চিকিৎসকদের মধ্যেও এটি একটি ইতিবাচক বার্তা পাঠাবে।