প্রধান খবর
বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ার পাচ্ছে মাত্র ০.৫ শতাংশ রোগী
বাংলাদেশে প্রতি বছর অন্তত ৬ লাখ মানুষের উপশমকারী বা প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন হলেও এই সেবা পাচ্ছে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ৫৬.৮ মিলিয়ন মানুষ প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন অনুভব করেন, কিন্তু সেবা পান মাত্র ১৪ শতাংশ। এই বৈষম্যমূলক বাস্তবতায় বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ সেবার ব্যাপ্তি ঘটানো সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য তুলে ধরেন। ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার রোগীদের যত্ন নেওয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ: সহানুভূতি, যত্ন এবং নিরাময়’ শীর্ষক সেমিনারে দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইউ’র ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে উন্নত প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য সেবার পরিধি বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণাতেও গুরুত্ব দিতে হবে।
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. শামীম আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম মতিউর রহমান ভূঁইয়া। প্যানেল বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সারোয়ার আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন যুক্তরাজ্যের হেমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আমিন ইসলাম।
সেমিনারে বলা হয়, মৃত্যুপথযাত্রী রোগী, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভোগা শয্যাশায়ী রোগী, বয়সজনিত দুর্বলতায় ভোগা বয়স্ক ব্যক্তি কিংবা জীবন সীমিতকারী জটিল রোগে আক্রান্ত শিশু—এমন নানা শ্রেণির রোগীর জন্য প্যালিয়েটিভ সেবা অপরিহার্য। এর মূল উদ্দেশ্য হলো যন্ত্রণা–ক্লান্ত রোগীর জীবনের শেষ সময়গুলোকে বেদনামুক্ত ও মানবিক মর্যাদাপূর্ণ করে তোলা।