আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কেবিনেট সাজাচ্ছেন। এরইমধ্যে অনেককেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনিডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনিডি জুনিয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সচিবের। তবে, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ৭৭ নোবেল বিজয়ী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ৭৭ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে তাদের দাবি, রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের মনোনয়ন বাতিল করা। তাদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কেবিনেটে সেক্রেটারি অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেসের (এইচএইচএস) জন্য উপযুক্ত নন তিনি। তাছাড়া, এর আগে ভ্যাকসিনবিরোধী কথা বলেছেন তিনি। যা জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ওই চিঠিতে সই করেছেন ৭৭ নোবেল বিজয়ী। যাদের মধ্যে আছে- চিকিৎসা, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও অর্থনীতিতে নোবেল জয়ীরা।
চিঠিতে তারা উল্লেখ্য করেছেন, ‘পূর্বের রেকর্ডের পরিপ্রেক্ষিতে, কেনেডিকে ডিএইচএইচএসের দায়িত্বে রাখা জনসাধারণের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।’
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ড্রু ওয়েইসম্যান, যিনি এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করার জন্য ২০২৩ সালে মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। যা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় অগ্রগতি ছিল।
তাছাড়া কেনেডি জুনিয়রকে নিয়ে বিতর্ক, তার কোন চিকিৎসা ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। তিনি একজন পরিবেশবাদী আইনজীবী। তাছাড়া কেনেডি ভ্যাকসিন ও অটিজমকে যুক্ত করার ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে সম্প্রতি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন।
ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘কেনেডির অভিজ্ঞতার অভাব ছাড়াও বিজ্ঞান, জনস্বাস্থ্য বা প্রশাসনে অদক্ষতা রয়েছে। কেনেডি অনেক স্বাস্থ্য-রক্ষাকারী ও জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিনবিরোধী ছিলেন, যেমন হাম এবং পোলিও প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের বিরোধী তিনি। কাজেই তাকে যেন নিয়োগ দেওয়া না হয়।’