Site icon স্বাস্থ্য ডটটিভি

সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। আজ সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা হামলা–ভাঙচুরের প্রতিবাদে লাঠি-সোঁটা হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা পুরান ঢাকার সুভাষ বোস অ্যাভিনিউতে অবস্থান করছিলেন। দুপর ১২টার পর তাঁদের একটা অংশ যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ অভিমুখে রওনা দেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বলেন, গতকাল রোববার দুপুরের পরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী আকস্মিকভাবে সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঢুকে শ্রেণিকক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালান। কলেজের ১৭টি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ও অফিসকক্ষের আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট-ভাঙচুর করা হয়েছে।

এদিকে আজ সোমবারের মধ্যে সবার অংশগ্রহণে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়। আলোচনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষক-ছাত্র প্রতিনিধিসহ পুলিশের লালবাগ জোনের কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্য প্রতিনিধিদের রাখার কথা বলেন তিনি।

কাকলী মুখোপাধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আকস্মিক কয়েক শ শিক্ষার্থী এসে একটি মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছিল। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

রাজধানীতে ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জের ধরে গতকাল পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিজিৎ হাওলাদার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ওই ঘটনায় গত বুধবার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল মেডিকেল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। পরে অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়। তবে ওই দিন বিকেলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন সোহরাওয়ার্দীসহ আশপাশের কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল ন্যাশনাল মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়।

Exit mobile version