যৌনশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা যে আছে, সেটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকলেও বাস্তবতা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। আমরা অনেকে বলি, এটা ন্যাচারালি সবাই জেনে যায় বা সবকিছু অটোমেটিকভাবে হয়ে যায়, আলাদাভাবে শেখার আর কোনো প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কিছু বিষয় প্রাকৃতিকভাবেই যেমন ঘটে, তেমনি কিছু বিষয় জেনেও নিতে হয়। যৌনতা বিষয়ে কিছু কৌশল বা কিছু প্রজ্ঞার বিষয় থাকে। এগুলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে।
আমাদের থেকে এসব বিষয়ে অনেক বেশি খোলামেলা অবস্থানে পাশ্চাত্যের দেশগুলো। কিন্তু সেখানকার যে চিত্র আমরা দেখি, তা অবশ্যই হতাশার। আমরা ধরে নিতে পারি, তারা এ বিষয়গুলো আমাদের মতো দেশগুলো থেকে তারা ভালো জানেন। কিন্তু তাদের সবকিছু জানা যৌনজীবন, তাদের পারিবারিক জীবনকে শান্তি দেয়নি, অথচ নিয়ন্ত্রিত যৌনজীবন উপভোগ করলে তারাও পারিবারিকভাবে সুখ-শান্তি পেতেন। তাই এসব বিষয়ে তাদেরকে আমাদের থেকে অভিজ্ঞ মনে করে অনুসরণ করতে গেলে আমাদের বিপদের সমূহ সম্ভাবনা আছে।
‘সেক্স এডুকেশন’ বইটি লেখার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এ বই থেকে সহজ-সরল ভাষায় বেশ কিছু বিষয় জানার সুযোগ হবে এবং এর মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী উপকৃত হবেন। এ বইটি লেখার ক্ষেত্রে ধর্মীয় সীমানার দিকেও দৃষ্টি রাখা হয়েছে। ডা. নুসরাত জাহান দৃষ্টি এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে, বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
আমাদের অসচেতনতা খুব সহজ কিছু বিষয়কেও জটিল করে তুলতে পারে। তার আগেই আমাদের দাম্পত্য জীবন আরও সুন্দর, সুখময় করার জন্য কিছু বিষয় জানতে হবে। এর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব বা প্রায় ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক রক্ষা করবে। সে ধরনের একটি সেবামূলক মনোভাব নিয়েই বইটি লেখা। আমরা আশাবাদী, এ বইটির মাধ্যমে অজানা বিষয়গুলো বা জেনে নেওয়ার মতো অনেক বিষয় পাঠকরা পাবেন।
বইটি পাবেন বাংলাদেশে পরিচিত প্রায় সকল অনলাইন বুকশপগুলোতে। সরাসরি পেতে ‘কুষ্টিয়া প্রকাশন’ এর ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করেও সংগ্রহ করা যাবে।