প্রকল্প পরিচালক বদল হয়েছেন চারজন। প্রকল্পের মেয়াদও শেষ হয়েছে দুইবার। তারপরও কাজের অগ্রগতি শূন্য। এই অবস্থা মেডিকেল কলেজ ও জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস প্রকল্পে। কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল নিয়োগ না হওয়া এবং স্থান সংকটের কারণেই এখনও শুরু করা যায়নি কাজ।
দেশে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হয়। ডায়ালাইসিস করেই বাঁচতে হয় এসব রোগীকে। ডায়ালাইসিস সেন্টারগুলো রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে জেলা পর্যায়ের রোগীরা।
এ সব রোগীদের ভোগান্তি ও অর্থ ব্যয় কমাতে ২০২০ সালে অনুমোদন পায় কিডনি ডায়ালাইসিস প্রকল্প। বরাদ্দ প্রায় তিন শ কোটি টাকা। ১৫টি মেডিকেল কলেজে ৫০ বেড করে আর ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে হবে ১০ বেডের ডায়ালাইসিস ইউনিট।
জেলা পর্যায়ে কিডনি ডায়ালাইসিস প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক রতন দাশ গুপ্ত বলেন, ‘জেলা হাসাপাতালে দু–একটি ডায়ালাইসিস সেন্টার দুই–তিনটি মেশিন দিয়ে প্রাইভেটলি হচ্ছে। সব জেলায় আবার নেই। সে ক্ষেত্রে যদি পর্যাপ্ত ম্যানপাওয়ারসহ ডায়ালাইসিস সেন্টার থাকলে অন্তত ৪৪টি জেলার লোকজন এই ডায়ালাইসিস সেবা নিতে পারবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্পের পরিচালক বলেন, ‘জায়গা যদি পর্যাপ্ত হয় তাহলে আমাদের জুনের মধ্যে এসব কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আছে।’
জনবল নিয়োগ না হওয়া এবং স্থান সংকটের কারণেই এখনও শুরু করা যায়নি কাজ। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
তৃতীয় বারের মতো বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। শেষ করতে হবে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে। কিন্তু ৩ হাজার ৮৭৪ জনবল নিয়োগের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত জায়গা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘অবকাঠামো বুঝে পেলে আমরা তখন ডায়ালাইসিস যন্ত্রপাতির দিতে আগাইতে থাকি। এরই মধ্যে জনবল নিয়োগ চলতে থাকে। মূলত অবকাঠামোগুলোই অনেকগুলো বাকি আছে আমাদের।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক আরও বলেন, ‘জনবলটা আমরা সমস্যা মনে করছি না। সমস্যা মনে করছি স্থাপনা ও যন্ত্রপাতির ক্রয় এই দুটো।’