Site icon স্বাস্থ্য ডটটিভি

দেশেই চিকিৎসা যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম তৈরির তাগিদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

১৫তম ওষুধশিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন | ছবি: স্বাস্থ্য টিভি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম (মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও ডিভাইস) তৈরি হলে মানুষ উপকার পাবে। দেশে তৈরি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। তাই দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো যেন চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম তৈরির ব্যাপারে নজর দেয়, সে জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ১৫তম ওষুধশিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি ও জিপিই এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড তিন তিনের এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। দেশি-বিদেশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে সহায়তা করছে। ৩০টির বেশি দেশের প্রায় সাড়ে সাত শ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সামন্ত লাল সেন উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করেন, তা হলে সাধারণ মানুষ উপকার পাবে।’

বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি বিদেশে রপ্তানি করাও সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হার্টের রিং, ক্যাথেটার বা অন্য অনেক সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে অনেক খরচ হয়। এর চাপ পড়ে রোগীর ওপর।

সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ নিজে তৈরি করে। ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। যেসব দেশে আইনকানুন খুব কড়া, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কিছু দেশ, অস্ট্রেলিয়া—এমন দেশগুলোয়ও বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করছে। এটা বড় সাফল্য।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি এবং যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। এখন ওষুধ তৈরির যে সুবিধা বাংলাদেশ ভোগ করে, তা ২০২৬ সালের পরে আর পারবে না। সে সময় যেসব খাত সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, স্বাস্থ্য খাত তার অন্যতম। আগামী দিনের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য জোর প্রস্তুতি দরকার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুল মুক্তাদির বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের বিকাশের ইতিহাস তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঔষধ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এসএম শফিউজ্জামান, জিপিই এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা পরেশ ঝুরমারভালা।

Exit mobile version