স্বাস্থ্য সংবাদ

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রশ্নে রুল

Published

on

মেডিকেলে প্রথম বর্ষে (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র কেন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে ফলাফল বাতিল চেয়ে ১৯৫ ভর্তিচ্ছুর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন। স্বাস্থ্যসচিব, শিক্ষাসচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ পাঁচ বিবাদীকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৩৫০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৮ হাজার ৯৭৫ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ক্রটিপূর্ণ উল্লেখ করে ওই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধাতালিকায় ভর্তি চেয়ে ৩২৪ শিক্ষার্থী গত ১৯ মে রিট করেন।

শুনানি নিয়ে ২৭ মে হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ নিয়ে রিটটি নিষ্পত্তি করে দেন। সেদিন আদালত বলেন, ফলাফল বিষয়ে অভিযোগ থাকলে কোনো পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে কারণ উল্লেখ করে আবেদন করতে পারবেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাত দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে তা জানাবেন। আর তথ্য গোপন করে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনো শিক্ষার্থী অংশ নিলে এবং তা চিহ্নিত হলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর ভর্তি তৎক্ষণাৎ বাতিল হবে।

এরপর ৩২৪ শিক্ষার্থীর মধ্য ১৯৫ শিক্ষার্থী নতুন করে ১৭ আগস্ট আরেকটি রিট করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

Advertisement

আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। প্রথম রিটে যাঁরা আবেদনকারী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৯৫ জন দ্বিতীয় রিটটি করেন। কেননা আগের রিটের প্রেক্ষিতে তাঁরা ভর্তির ফলাফলে ত্রুটি উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ১৯৫ শিক্ষার্থীর আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন, তবে শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে কোনো কাঙ্ক্ষিত প্রতিকার পাননি। তাই রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।

Trending

Exit mobile version