স্বাস্থ্য সংবাদ

শুধু টিকা নয়, যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন

Published

on

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দুই দফায় ১১ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। ১৩ জুন সর্বশেষ ৬ লাখ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে করোনা প্রতিরোধে চীনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শুধু করোনা প্রতিরোধ নয়, যেকোনো প্রয়োজনে চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

হাইব্রীড ধানের জনক অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সীড এসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

হাইব্রীড জাতের ধানের উদ্ভাবক হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়া এই বিজ্ঞানি দারিদ্র বিমোচনসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ৯১ বছর বয়সে গত ২২ মে চীনের হুনান প্রদেশের একটি হাসাপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

হাইব্রীড ধানের জনক অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ভার্চুয়াল সভা

বিএসএ সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম সীড কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুম, বিএসএ সাধারণ সম্পাদক এফ আর মালিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও এসিআই এগ্রিবিজনেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ড. এফ এইচ আনসারী, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, সাবেক কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, লালতীর সীডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আনাম, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক সাইদ শাহীন প্রমুখ। এছাড়া আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হামনাথ ভান্ডারি, ইরির প্রধান কার্যালয়ের হাইব্রীড বিভাগের প্রধান ড. জহুর আলী, চীনের সীড এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইয়াংকুই জ্যাং, চীনের সিচুয়ান সীড এ্যাসোসিয়েমেনর পরিচালক শেং লি, চীনের অন্যতম বীজ কোম্পানি হেইজি গ্রুপের চেয়ারম্যান জিয়াও চাও জিয়া, চীনের এয়ার ফার্মার জেনারেল ম্যানেজার জিয়াও ল্যাংমু, বিএসএ সহ-সভাপতি ড. আলী আফজাল, নির্বাহি পরিচালক ফখরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

লি জিমিং বলেন, করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সরঞ্জাসহ বাংলাদেশকে নানা ধরনের চিকিৎসা সহযোগিতা করেছে চীন। তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতেও সব ধরনের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, চীন ও বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় ইউয়ান লংপিংয়ের অবদান অবিস্মরনীয়। ১৯৫০ সালে চীনে মাত্র ৭ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হতো। হাইব্রীড জাত উদ্ভাবনের পর ৫ দশকের ব্যবধানে সেটি ৫ গুণ বেড়েছে। চীনের অর্ধেকের বেশি জমি এখন হাইব্রীড ধানের আবাদ হচ্ছে। মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশই হাইব্রীড। চীনে এখন ৮০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ধানের আবাদ হচ্ছে। বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনে তার অবদান অবিস্মরনীয়।

Advertisement

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ক্ষুধা নিবারণ, দারিদ্যতা বিমোচন, ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় বাড়ানো এবং খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করেছেন লংপিং। সারাবিশ্বের অর্ধৈক মানুষ প্রধান খাবার হিসেবে চালের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র দেশে। খাদ্য নিরাত্তায় তার এ অবদানের জন্য বিশ্ব তাকে চিরজীবন স্মরণ রাখবে।

Trending

Exit mobile version