আইসিডিডিআর,বিতে ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি

স্বাভাবিক সময়ে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ রোগী ভর্তি হয়। তবে এখন স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন

রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) বা কলেরা হাসপাতালে রোগীদের ঠাঁই মিলছে না। ইতোমধ্যেই হাসপাতালটিতে ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডায়রিয়ার সুচিকিৎসায় কলেরা হাসপাতাল নামে সুপরিচিত এ হাসপাতালে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে আটশ থেকে নয়শর বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। স্বাভাবিক সময়ে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ রোগী ভর্তি হয়। তবে এখন স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

আইসিডিডিআর,বির চিফ ফিজিশিয়ান (প্রধান চিকিৎসক) ডা. প্রদীপ কুমার বর্মন বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেন, রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আগে প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিনশ রোগী ভর্তি হলেও বর্তমানে নয়শর বেশি ভর্তি হচ্ছেন।

তিনি জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও বৃদ্ধ আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হচ্ছেন। রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত তাবু স্থাপন করা হয়েছে। তবে রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানান তিনি।

কী কারণে ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে জানতে চাইলে ডা. প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। পানি ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ডায়রিয়া ছড়ায়। গত কয়েকদিন অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বাড়ছে। অনেকেই পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটে বরফ মেশানা আঁখ ও লেবুর রসের বিভিন্ন ধরনের শরবত পান করেন। এগুলো থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত করতে পারে।

এছাড়া গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়। অনেক সময় বেখেয়ালে পচা খাবার খাওয়ায় ডায়রিয়া হয়। ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার গ্রহণ জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা বেগম জানান, প্রতি বছর এপ্রিল ও মে’তে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি জানান, গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্য়ন্ত শুধুমাত্র আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে দশ হাজার ২৬১ রোগী ভর্তি হয়েছেন। দিনের হিসেবে যথাক্রমে ৮০৩, ৭৯৫, ৯১৮, ৯২৩, ৮৬৪, ৮৫৩, ৮৬৭, ৮৭২, ৭৬৮, ৮৮৯, ৮৬০ ও ৮৪৯ রোগী ভর্তি হয়েছেন।

Exit mobile version