আগামী বছর আরো প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের হাসপাতালগুলোতে চার হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য সুপারিশের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

চলতি বছরের মধ্যে এসব চিকিৎসক নিয়োগ শেষে আগামী বছর আরো প্রায় পাঁচ হাজার নিয়োগ দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ১০০ দিনের কর্মসূচির অগ্রগতি জানাতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, ‘ইমার্জেন্সি, মেডিসিন বিভাগ ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসকদের কর্মঘণ্টা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা। এজন্য ২টার পরে হাসপাতালে চিকিৎসক কম দেখা যায়। তার মানে এই নয় যে, চিকিৎসকরা অনুপস্থিত। এজন্য আমরা দ্বিতীয় শিফট চালু করা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করাটাই সরকারের মূল লক্ষ্য। এজন্য হাসপাতালে মনিটরিং বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর সুফলও পাওয়া গেছে, বর্তমানে ৭৫ শতাংশ চিকিৎসক হাসপাতালে অবস্থান করছেন। কিছুদিন আগেও যেখানে এই উপস্থিতির হার ছিল ৪০ শতাংশের নিচে। আমরা শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতে কাজ করছি। এটি করতেও বেশি দিন লাগবে না।’

এ সময় জাহিদ মালেক জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যা করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী চার বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই কাজ শেষ হবে। এখন ২ হাজার ৬০০ বেড হলেও ৪ হাজার রোগীর ধারণ ক্ষমতা রয়েছে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ আইনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আইনটি মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলাম। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’

এই আইনের সুফল বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘অন্যায় হলে জবাবদিহিতা থাকবে। এ আইনের মাধ্যমে সেবার মান বাড়বে। অযাচিতভাবে কোনো চিকিৎসক বা নার্সের ওপর হামলা হলে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এনেসথেসিয়া চিকিৎসক কম। সার্জন বেশি। এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। এনেসথেসিয়া চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version