Site icon স্বাস্থ্য ডটটিভি

করোনার প্রাণঘাতী নতুন ধরন ‘নিওকোভ’, টিকাতেও কাজ হবে না!

করোনার এই ধরনটি আরও পরিবর্তিত হয়ে ভবিষ্যতে মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

ডেল্টার পর করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে এখন সারাবিশ্ব ত্রস্ত। তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতার জন্য এ রূপ নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। তবে আশার কথা, ওমিক্রনের মারণক্ষমতা অনেক কম। কিন্তু ডেলটাক্রন, ওমিক্রন এখন অতীত! সন্ধান মিলেছে কোভিডের নতুন একটি রূপের! নিওকোভ নামে করোনাভাইরাসের নতুন এক ধরনের কথা জানিয়েছেন চীনের গবেষকরা। তাদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার ভারতের সংবাদমাধ্যমে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

উহানের গবেষকরা বলছেন, করোনার এই ধরনটি আরও পরিবর্তিত হয়ে ভবিষ্যতে মানুষের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

উহানের এই চিকিৎসা-বিজ্ঞানীদের দাবি, শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কার হওয়া এই মার্স-করোনাভাইরাস। শুধু তাই নয়, চীনা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই রূপের মারণক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রতি তিনজন সংক্রমিতের একজনের মৃত্যু হতে পারে ‘নিওকোভ’- এ।

উহানের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। সেখানে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, বাজারে বর্তমানে করোনার যেসব টিকা আছে তার কোনোটিই নিওকোভের বিরুদ্ধে কার্যকরী হবে না। যদিও এই ভাইরাস নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে নিওকোভের মতো রূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে। কোভিড-১৯ এর সঙ্গে অনেক জায়গাতেই মিল নিওকোভের। প্রথম এই ধরনের রূপের সন্ধান মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মূলত বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায় নিওকোভ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, চীনা বিশেষজ্ঞরা যে নতুন রূপ নিয়ে সাবধান করছেন, তা নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানব শরীর এই রূপটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।

Exit mobile version