ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় : ফার্মাসিস্ট হবেন যাঁরা

■ ফয়সাল হাসান
সময়টা ২০০৩ সাল। মাত্র ৪১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হলো ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের যাত্রা। আজ সাত বছর পর ওই ফার্মেসি বিভাগে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে। অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে মাস্টার্স প্রোগ্রাম।
ফার্মেসির বৃত্তান্ত
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাচেলর ইন ফার্মেসি’ ডিগ্রি অর্জন করতে মোট ১৫৮ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রোগ্রামটি চার বছর মেয়াদি। বছরে দুটি সেমিস্টার করে মোট আট সেমিস্টার। সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাস। পঞ্চম সেমিস্টারের রাহাত শামসের কাছে জানতে চাই কেমন লাগে ফার্মেসি পড়তে? ‘ঘন ঘন পরীক্ষা, নিয়মিত ক্লাস আর ল্যাব ছাড়া সবকিছু ভালো লাগে আমার।’ মুচকি হেসে জানালেন রাহাত।
ফার্মেসির শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সুনেত্রা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের ফার্মেসি বিভাগে পড়াশোনার চাপ খুব বেশি। সকাল-বিকেল তত্ত্বীয় আর ব্যবহারিক ক্লাস করতে হয়।’ একই কথা জানালেন আসিফ ও সুমন। ফার্মেসি বিভাগের গবেষণাগারে গিয়ে দেখা গেল, শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যস্ত। কথা হলো ল্যাব অফিসার তানিয়া ফেরদৌস ও রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে। ‘আমাদের এখানে ল্যাবের সুবিধা বেশ ভালো। ল্যাবে অত্যাধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে।’ বললেন তানিয়া ফেরদৌস। ষষ্ঠ সেমিস্টারের সুস্মিতা দে, আফসানা তাবাসসুম সমর্থন জানালেন তাঁর কথায়। ছাত্রদের কাছ থেকে জানা গেল, ল্যাব ক্লাসে মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন নিয়ে ক্লাস হয় মান নিয়ন্ত্রণের জন্য। ল্যাব ক্লাস কেউ মিস করলে, উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে অন্য সেকশনের সঙ্গে ক্লাস করার সুযোগ রয়েছে।
বিভাগের মান সম্পর্কে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান চৌধুরী ফয়েজ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমাদের এখানকার শিক্ষকেরা অনেক বেশি সময় দেন ছাত্রদের। আর নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষার ব্যাপারে আমরা খুব কঠোর। আমাদের ফার্মেসি বিভাগে রয়েছে সাতটি অত্যাধুনিক গবেষণাগার। এ কারণেই এখানকার শিক্ষার্থীরা ভালো করে। আর তাঁরা ভালো করে বলেই স্কয়ার, ইনসেপটা, এসকেএফ, বেক্সিমকো, স্যানোফি-আভেন্টিস, রসির মতো দেশি-বিদেশি বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি পায়।’
ভর্তি ও খরচাপাতি
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে ভর্তির আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩.০ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিত বিষয় থাকতে হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষার ৫০ শতাংশ, এসএসসিতে ২০ শতাংশ এবং এইচএসসিতে ৩০ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করা হবে ভর্তির ক্ষেত্রে। ভর্তি হওয়ার পর আনুমানিক ছয় লাখ ৩৭ হাজার টাকা খরচ হবে ‘ব্যাচেলর ইন ফার্মেসি’ ডিগ্রি সম্পন্ন করতে। একটি তথ্য জানিয়ে রাখি, ভালো ফল করলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। বিস্তারিত জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.ewubd.edu ঠিকানায়।

Exit mobile version