শিশুদের ওপর টিকা পরীক্ষার অনুমতি পেল ফাইজার

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার শিশুদের ওপর তাদের করোনার টিকাটির পরীক্ষা চালাবে। পরীক্ষামূলক এ টিকা ১২ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা দেখা হবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাবা-মায়ের মধ্যে এ টিকা পরীক্ষা নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা সিএনএনকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ গবেষক।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের টিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রথম ঘটনা হবে এটি। সিনসিনাটি চিলড্রেনস হাসপাতালের একটি গবেষক দল ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরদের প্রথম টিকা দেবে। পরে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান হাসপাতালে টিকা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক রবার্ট ফ্রেঙ্ক।

ফাইজারের ওয়েবসাইটে তাদের টিকাটি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে ১২ বছরের কিশোরদের মধ্যে পরীক্ষার অনুমোদন পেয়েছে।

গবেষক ফ্রেঙ্ক বলেন, শিশু–কিশোরদের করোনা সংক্রমণসংক্রান্ত যেসব তথ্য পাওয়া যায়, প্রকৃত সংক্রমণ তার চেয়ে বেশি। কিন্তু তারা খুব বেশি অসুস্থ হয় না বলে এ বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু তাদের উপসর্গ থাকে। এফডিএর পক্ষ থেকে বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপযোগী টিকা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে যে চারটি কোম্পানি তৃতীয় ধাপের টিকা পরীক্ষায় রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ফাইজার। তারা ৩৮ হাজার মানুষের ওপর টিকা পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।

ফাইজার জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলে দুই ডোজের টিকা তৈরি করেছে। তারা টিকা তৈরিতে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা দেখাতে সক্ষম জিনগত উপাদান ব্যবহার করেছে।

ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা যদি নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পায়, তবে এ বছরের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে পারবে। ২০২১ সালের মধ্যে ১৩০ কোটি ডোজ টিকা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে তারা।

গত জুলাই মাসে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পরীক্ষামূলক টিকার ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা জানায় মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক। তারা দাবি করেছে, এটি স্বাস্থ্যবান মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

Exit mobile version